একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

কাল বৈশাখী

রবিবারের (জুলাই ১৪, ২০২৪ ) আবহাওয়া পূর্বাভাস

Blog Image
Email : 4653k 12k

রবিবারের (জুলাই ১৪, ২০২৪ ) আবহাওয়া পূর্বাভাস

আজ রবিবার দুপুর ৩ সময়কার কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান চিত্র বিশ্লেষণ করে দেশের বেশিভাগ জেলা মেঘ মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আজ সকাল থেকেই দেশের বেশিভাগ জেলা বৃষ্টিপাত মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। আজ মূলত দেশের পশ্চিম দিকের খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলো উপরে মেঘের উপস্থিতি রয়েছে। আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২ টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত দৃশ্যমান মেঘের চিত্র (দুপুর ৩ টা)

রংপুর বিভাগ: আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও রংপুর জেলার উপরে হালকা বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে।

খুলনা বিভাগ: আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, মাগুরা, ও বাগেরহাট জেলার কোন-কোন উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা রয়েছে।

রাজশাহী: আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের চাপাইনবাগন্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, বগুড়া, ও সিরাজগঞ্জ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগ: আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে আগামীকাল সকাল ৬ টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার উপরে হালকা বজ্রপাত সহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ: বিকেল ৪ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনিসংহ জেলার কোন-কোন উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা রয়েছে।

ঢাকা বিভাগ: বিকেল ৪ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগন্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলার কোন-কোন উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা রয়েছে। বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ও কিশোরগঞ্জ জেলার কোন-কোন উপজেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা রয়েছে।

আজ ঢাকা শহরের উপরে বৃষ্টিপাতের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে।

ছবি: দুপুর ৩ টা বেজে ০ মিনিটে সময় প্রাপ্ত বজ্রপাত মানচিত্র।


সিলেট বিভাগ: আজ সন্ধ্যার পূর্বে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
রাত ১০ টার পর থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল ৬ টার মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার সকাল ৬ টার পর থেকে আজ রবিবার সকাল ৬ টার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ২৩ মিলিমিটার ও সিলেট জেলায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টার সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার উপরে ভারি বৃষ্টিপাত না হওয়ার সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়া শুরু করেছে আবারও।


বরিশাল বিভাগ: আজ বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম।


ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপরে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত পূর্বাভাস
==============================================

এই পূর্বাভাস লেখার সময় (দুপুর ৩ টা বেজে ১০ মিনিট) পশ্চিমবঙ্গের সর্ব দক্ষিণ ও উত্তরের বেশিভাগ জেলার উপরে ঘন মেঘের উপস্থিত লক্ষ করা যাচ্ছে। দুপুর টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, ও দার্জিলিং জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে। আজ দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের বেশিভাগ জেলার উপরে হালকা বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা, হাওড়া, হুগলী, কোলকাতা, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

আজ কোলকাতা শহরের উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে দুপুর ৩ টার পর থেকে সন্ধ্যা ৭ টার মধ্যে।


ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উপরে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত পূর্বাভাস:
============================================

দুপুর ৩ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকের বেশিভাগ জেলার উপরে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।

ভারতের আসাম রাজ্যের পূর্ব দিকের ৩ জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত পূর্বাভাস
===============================================================
বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে আজ আসামের করিমগঞ্জ, হাইলাকান্ডি ও কাছার জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা পরিস্থিতির আপডেট (১৪ ই জুলাই, ২০২৪)
===========================================

গত শুক্রবার থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সর্ব-উত্তরের দার্জিলিং, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুর-দুয়ার, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলা, অরুণাচল প্রদেশ, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম পাশে বৃষ্টি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে। ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত পূর্বাভাস ও বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত পূর্বাভাস বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে যে চলমান বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী কাল মঙ্গলবারের মধ্যে।

গত প্রায় ১ সপ্তাহ নিয়মিত ভাবে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা নদীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া শুরু হয়েছিল। গতকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি কমা শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত চিত্রে রংপুর, ময়মনসিংহ, ও রাজশাহী বিভাগের নদ-নদীর পানি কমা শুরুর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

ছবি: বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ-কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন নদ-নদীর পানি-প্রবাহের চিত্র বিশ্লেষণ করে যমুনা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র নদীর এবং এই নদীগুলোর বেশিভাগ উপ ও শাখা নদীগুলোতে পানি-সমতলের উচ্চতা বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (১৪ ই জুলাই পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে)। ছবি কৃতজ্ঞতা: বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র


শনিবার সকাল ৬ টার পর থেকে আজ রবিবার সকাল ৬ টার মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় ২৩ মিলিমিটার ও সিলেট জেলায় ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মেঘালয়ের খাসি পর্বত এলাকার অন্যান্য স্থানেও হালকা পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আবারও সিলেট ও সুনামগঞ্জের নদীগুলোর পানি সমতলের উচ্চতা দ্রুত কমা শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত চিত্রে সিলেট বিভাগের নদ-নদীর পানি কমা শুরুর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

ছবি কৃতজ্ঞতা: বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র

 

Related Post