একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

Breaking News :
কাল বৈশাখী

মোটামুটি ৮০ থেকে ৯০% নিশ্চয়তা সহকারে বলা যায় যে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা শুরু হতে যাচ্ছে আজ ২০ শে জুন থেকেই।

Blog Image
Email : 4772k 12k

ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যার আপডেট (জুন ২০, ২০২৩)

মোটামুটি ৮০ থেকে ৯০% নিশ্চয়তা সহকারে বলা যায় যে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে বন্যা শুরু হতে যাচ্ছে আজ ২০ শে জুন থেকেই।

গত ২৪ ঘন্টায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কুচবিহার, কোকরা-ঝাড় জেলায় খুবই ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। জলপাইগুড়ি ও কোকরা-ঝাড় জেলায় স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৫০০% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৯ শে জুন। পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের বেশিভাগ স্থানের উপর ২০০ থেকে ৫০০% বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। পুরো আসাম রাজ্যে ব্যাপক ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে জুন মাসের ১৩ তারিখ থেকে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রে তথ্য মতে নীলফামারী জেলার তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্ট, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী নামক স্টেশন, ও কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া স্টেশন, অতি গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি নামক স্টেশনে নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টা উপরোক্ত নাদীগুলোর পানির উচ্চতা আরও বৃদ্ধি পাবে যেহেতু গত ৩ দিন ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে ও আগামী ২২ শে জিন পর্যন্তত বৃষ্টি অব্যহত থাকবে।

আজ ২০ ই জুন থেকে তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো (নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার) ও তিস্তা-নদীর চরগুলো আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল (ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্টিং সিস্টেম) অনুসারে জুন মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে জুন মাসের ২২ তারিখ পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় ৭ টি রাজ্যের সবগুলোতে ভারি থেকে খুবই ভারি বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। উপরে উল্লেখিত বৃষ্টির পুরোটাই রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের মধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলোর পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ১ সপ্তাহ আসাম রাজ্যে প্রায় ১০০০ মিলিমিটার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

১৮ জুন থেকে তিস্তা-নদীর উজানে অবস্থিত ভারতের গজল-ডোবা বাঁধের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে যার কারণে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার অবস্থিত তিস্তা ব্যাজে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামীকাল ২০ ই জুন থেকে তিস্তা নদীর উপকূলবর্তী এলাকাগুলো (নীলফামারী, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, রংপুর জেলার) ও তিস্তা-নদীর চরগুলো আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: পশ্চিমবঙ্গের উপর অবস্থান করা মৌসুমি বায়ুর অবস্হান ও যাত্রাপথের মানচিত্র (ছবি কৃতজ্ঞতা: ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর)

 

Related Post