বঙ্গোপসাগরে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় "ডানা" সৃষ্টির আপডেট ৩: ১৯ শে অক্টোবর, ২০২৪
আজ ১৯ অক্টোবর আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে সম্ভব্য সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টি ২৩ শে অক্টোবর মধ্য রাতের পর থেকে ২৪ শে অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করার আশংকা করা যাচ্ছে। ঘুর্নিঝড়টি প্রায় একই পথে অগ্রসর হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে যে পথে ঘুর্নিঝড় আম্পান স্থাল ভাগে আঘাত করে অগ্রসর হয়েছিল। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মেদনিপূর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলার উপকূলে আঘাত করার আশংকা করা যাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ পূর্বাভাস ঘূর্ণিঝড় ডানা সৃষ্টির আশংকা ৯০ থেকে ১০০ %।
আজ ১৯ ই অক্টোবর তারিখের পূর্বাভাস তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড় ডানা সম্বন্ধে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্য হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভব্য সময়: ২১ থেকে ২২ শে অক্টোবর
নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভব্য সময়: ২২ থেকে ২৩ শে অক্টোবর
পূর্নাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভব্য সময়: ২৩ থেকে ২৫ শে অক্টোবর
স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য সময়: ২৩ শে অক্টোবর মধ্য রাতের পর থেকে ২৪ শে অক্টোবর মধ্য রাতের মধ্যে।
স্থলভাগে আঘাতের সম্ভব্য স্থান: ভারতের ওড়িশা রাজ্য ও বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার মধ্যবর্তী যে কোন উপকূলীয় এলাকা।
স্থল ভাগে আঘাতের সময় ঘুর্নিঝড় ডানা এর বাতাসের সম্ভব্য সর্বোচ্চ গতিবেগ:
---> বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার।
------> বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
----> ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
-----> ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে আঘাত করলে ঘন্টায় ১৪০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।
ঘুর্নিঝড়ের কারণে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভব্য উচ্চতা:
সাতক্ষীরা, খুলনা, ও বাগেরহাট জেলা: স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ৫ থেকে ৮ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ২ থেকে ৫ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা: স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
নোয়াখালী, চট্টগ্রাম: স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ২ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।
কক্সবাজার: স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ২ থেকে ৪ ফুট বেশি (জোয়ারের সময়) ও স্বাভাবিক সময়ে অপেক্ষা ১ থেকে ৩ ফুট বেশি (ভাটার সময়)।