একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

Breaking News :
ঘূর্ণিঝড়

সোমবারের (২৯ শে মে, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস

Blog Image
Email : 4752k 12k

সোমবারের (২৯ শে মে, ২০২৩) আবহাওয়া পূর্বাভাস

আজ সোমবার ২৯ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যার ৭ টার পর থেকে রাত ১০ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় অতিক্রম করার কিছু সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্য চিত্র বিশ্লেষণ করা দেখা যাচ্ছে যে আজ বিকেল ৫ টা বেজে ৩০ মিনিটের সময় পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল নামক জেলার উপর একটি কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টি হয়েছে যা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ফলে আজ সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত খুলনা বিভাগের কো-কোন জেলা বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, খুলনা, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ ইত্যাদি জেলার উপর দিয়ে বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে কাবৈশাখি ঝড়, ও বজ্রপাত অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ মেঘালয় পর্বতের উপরে ঘন মেঘের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ফলে সন্ধ্যার পরে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের মেঘালয় পর্বতের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো বিশেষকরে নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, সিলেট ইত্যাদি জেলার উপর রাত ৮ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কালবৈশখি ঝড় অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ ঢাকা শহরের উপর বৃষ্টিপাতের খুবই কম সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে, সম্ভাবনা নাই বললেই চলে।

********************************তাপপ্রবাহ পূর্বাভাস ****************************************

আগামী ১ সপ্তাহ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রমাগত বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। জুন মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুোর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বড় তাপপ্রবাহ অতিক্রম করার কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছ না কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঊর্ধ্ব আকাশে এখনও জেট স্টিম এর উর্ধমুখি অর্ধেক অংশ বিরাজ করতেছে যে কারণে বাংলাদেশের ভূ-পৃষ্টের কাছা-কাছি স্থানে এখনও বায়ুর নিম্নচাপ অবস্থা বিরাজ করছে যে কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আকাশে মেঘের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যখন কোন স্থানের আকাশে মেঘের সৃষ্টি হতে থাকে সেই স্থানে তাপপ্রবাহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে না। কারণ তাপ প্রবাহ অবস্থা সৃষ্টির জন্য ভূ-পৃষ্ঠের কাছা-কাছি স্থানে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা সৃষ্টি হতে হয়। কোন স্থানে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন স্থানে বায়ুর উচ্চচাপ অবস্থা সৃষ্টি হলে সেই স্থানের জলিয় বাষ্প-যুক্ত গরম বায়ু আকাশে উঠে গিয়ে মেঘের সৃষ্টি করতে পারে না। ফলে আকাশ মেঘমুক্ত থাকে ও যার কারণে দিনের বেলা সূর্য থেকে আগত সকল শক্তি বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির করে তাপ-প্রবাহ অবস্থার সৃষ্টি করে।

তবে এই সপ্তাহের শেষের দিকে যখন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঊর্ধ্ব আকাশের উপর থেকে জেট স্টিম এর উর্ধমুখি অর্ধেক অংশ সরে গিয়ে জেট স্টিমের নিম্নমুখী অর্ধেক অংশ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঊর্ধ্ব আকাশের উপর চলে আসবে তখন এক সপ্তাহের জন্য তাপপ্রবাহ অবস্থা সৃষ্টি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। জুন মাসের ৫ তারিখের পরে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ভারতীয় সীমান্তবর্তী কিছু জেলার উপরে বিশেষ করে রাজশাহী, চপাইনবাবগন্জ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ ইত্যাদি জেলার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যান্য বিভাগে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

Related Post