ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি নামক স্হানে সরা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে কেন?
ভারতের মেঘালয় মালভূমি বা মেঘালয় মালভূমি বাংলাদেশের জন্য ব্যাপক আশীর্বাদ বলা চলে। এই মালভূমিটি না থাকলে সিলেট, সুনামগন্জ, হবিগন্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর বা ভাটি অঞ্চল থাকতো না। এই মালভূমির ঢাল বয়ে জ্বলিয়বাষ্প উপরে উঠে যায় প্রায় ৩ দিক থেকে (দক্ষিণের হাওর এলাকা থেকে, পশ্চিমের তিস্তা নদী ও বহ্মমপুত্র নদ থেকে ও উত্তরের ব্রহ্মমপুত্র নদ থেকে)। সকালে সূর্য উঠার পরে মালভূমির উপরের অংশের বাতাস গরম হয়ে হালকা হয়ে আকাশে উঠে যায় ফলে ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন স্থানে বায়ু শূন্যতা সৃষ্টি হয়। প্রকৃতি যেহেতু শূন্য স্থান পছন্দ করে না তাই আশ-পাশের বায়ু পাহাড়ের ঢাল বেয়ে মালভূমির ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন সেই বায়ু শূন্য স্থান দখল করে। এই প্রক্রিয়া সারাদিন চলতে থেকে ও মেঘালয় পর্বতের উপর মেঘের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যখন মেঘ জ্বলিয়বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায় তখন তা বৃষ্টি আকারে ভূমিতে পতিত হয়। মেঘালয় পর্বতের উপর জ্বলিয়বাষ্পের এই সরবরাহ প্রায় সারা বছর চালু থাকে যেহেতু সিলেটের হাওর এলাকাগুলো বছরের প্রায় ৮-৯ মাসই পানিতে ঢুবে থাকে ও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতেও পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকে। ঠিক এই কারণে মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি ও তার আশ-পাশের পাহাড়ি এলাকায় পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
ছবি বর্ণনা: ছবিতে লাল তীর চিহ্ন মেঘালয় পর্বতের বিভিন্ন পাশ থেকে জলিয় বাষ্প প্রবাহের দিক নির্দেশ করতেছে। (ছবি সুত্র: আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস সংস্হা, নোয়া (The National Oceanic and Atmospheric Administration))