বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আপডেট: ৮ (২৬ শে মে, ২০২৫, বিকেল ৪ টা বোজে ৩০ মিনিট)
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা নাই বললেই চলে যেহেতু বর্ষার মৌসুমি বায়ু ইতিমধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে গেছে। আজ ২৬ শে মে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৭ কিংবা ২৮ শে মে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে একটি লঘুচাপ/নিম্নচাপ সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ২৯, ৩০, ও ৩১ শে মে ও ১লা জুন রেকর্ড- ব্রেকিং পরিমাণে বৃষ্টির প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে বাংলাদেশের রংপুর, ময়মনিসংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে সম্ভব্য লঘুচাপ/নিম্নচাপের প্রভাবে। এই ৪ দিনে বাংলাদেশের ও ভারতের আসাম, ও মেঘালয় রাজ্যের উপরে ৫০০-৭০০ মিলিমিটার এর বেশি পরিমাণে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
ভারি বৃষ্টিপাত কোন বিভাগের উপরে হবে তা নির্ভর করতেছে লঘুচাপ/নিম্নচাপটি ঠিক উপকূলের কোন স্থানের উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ও ঠিক কত ধীরে স্থলভাগের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। যদি খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে প্রবেশ করে তবে ভারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি রংপুর বিভাগ ও ময়মনিসংহ বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। যদি বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপর দিয়ে প্রবেশ করে তবে ভারি ভারি বৃষ্টি হবে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপরে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল হতে প্রাপ্ত এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে লঘুচাপ/নিম্নচাপটি খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে স্থল ভাগে প্রবেশ করে সরাসরি উত্তর-পূর্ব অগ্রসর হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম রাজ্যের উপরে খুবই ভারি বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
এই পূর্বাভাস অপরিবর্তিত থাকলে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বন্যার প্রবল আশংকা করা যাচ্ছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:
==========
এখানে উল্লেখ্য যে বাতাসের গত গতিবেগ যদি ঘন্টায় প্রায় ৬৩ কিলোমিটারের বেশি হয় তবে তাকে ঘুর্নিঝড় বলে। বাতাসের গতিবেগ যদি ঘন্টায় প্রায় ৬৩ কিলোমিটার অপেক্ষা কম হয়ে থাকে তবে তাকে লঘুচাল (৩১ কিমি/ঘন্টা অপেক্ষা কম), নিম্নচাপ (৩১-৫০ কিমি/ঘন্টা), গভীর নিম্নচাপ (৫১-৬২ কিমি/ঘন্টা)।