একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

ঘূর্ণিঝড়

২৯ ও ৩০ শে ডিসেম্বরের আবহাওয়া পূর্বাভাস: শনি/রবি বার থেকে ঘন কুয়াশা বাংলাদেশে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে

Blog Image
Email : 79107k 12k

২৯ ও ৩০ শে ডিসেম্বরের আবহাওয়া পূর্বাভাস: শনি/রবি বার থেকে ঘন কুয়াশা বাংলাদেশে প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে

আজ শুক্রবার সকাল ৬ টার সময় দেশের বেশিভাগ জেলা ছিলও কুয়াশা মুক্ত। সামান্য পরিমাণে কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে সিলেট ও ময়মনিসংহ বিভাগে হাওর এলাকার জেলাগুলোর উপরে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলাগুলোর উপরে বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় কুয়াশার উপস্থিতি দেখা গেছে।


রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে শুক্রবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড

আজ শুক্রবার ভোর ৬ টার সময় দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া উপজেলায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রাজশাহী জেলায় ভোর ৬ টার সময় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র দেখা যাচ্ছে যে আজ শুক্রবার সকাল ৬ টার সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাগুলোর উপর খুবই কম পরিমাণ কুয়াশার উপস্থিতি ছিলও।

ছবি: জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত শুক্রবার বিকেল ৪ টার সময়কার দৃশ্যমান চিত্র সময়কার দৃশ্যমান চিত্র যা বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের উপরে মেঘের উপস্থিতি নির্দেশ করতেছে।

 

ছবি: ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত শুক্রবার বিকেল ৪ টার সময়কার বিভিন্ন প্রকারের বায়ুর চিত্র


২৯ শে ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যার পর থেকে ৩০ শে ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশা পূর্বাভাস

আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম নামক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত কুয়াশার সম্ভবতার মানচিত্র ("ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স") অনুসারে আজ ২৯ শে ডিসেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যার পর থেকে ৩০ শে ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০ টা পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের বড়-বড় নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলোর উপরে।

আগামীকাল শনিবার পুরো দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘনত্বের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিশোরগন্জ, নেত্রকোনা, সুনাগন্জ, হবিগন্জ জেলার উপরে।


ছবি: আগামীকাল শনিবার সকাল ৬ টার সময়কার কুয়াশার সম্ভাব্যতার মানচিত্র, আবহাওয়া বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম "ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স" (যে স্থানে রং যত বেশি লাল সেই স্থানে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা তত বেশি)।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ফগ স্টাবিলিটি ইনডেক্স এর মান ৩১ এর কম হলে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা; ৩১ থেকে ৫৫ এর মধ্য থাকলে হালকা থেকে মাঝারি মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা ও ৫৫ এর বেশি হলে কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম নির্দেশ করে।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপরে কুয়াশা পূর্বাভাস

আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরান্বচলের জেলাগুলোর উপরে হালকা মানের কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, মালদহ, বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার উপরে।

আজ শুক্রুবারও ভারি কুয়াশার কারণে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের ভারতীয় রাজ্যগুলোর জনজীবন পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে এসেছে

ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা গেছে যে উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের ভারতীয় রাজ্যগুলোর জনজীবন পুরোপুরি স্থবিরতা নেমে এসেছে খুবই ঘনত্বের কুয়াশা পড়ার জন্য। বিশেষ করে দিল্লী, কাশ্মীর, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা রাজ্যের উপরে। এই কুয়াশা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকের রাজ্যগুলোর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার ঘন কুয়াশা বিহার, ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ঘন কুয়াশা আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশর রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর উপরে দিয়ে বাংলাদেশের প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

ভারত, জাপান ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সেন্সর দ্বারা সংগৃহীত কুয়াশার চিত্র ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩।

 

 

Related Post