একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

ঘূর্ণিঝড়

নিম্নচাপ নয়; ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই উপকূলে আঘাত করতে পারে "হামুন" (আপডেট ৭, অক্টোবর ২৪, ২০২৩)

Blog Image
Email : 564k 12k

নিম্নচাপ নয়; ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই উপকূলে আঘাত করতে পারে "হামুন"

(আপডেট ৭, অক্টোবর ২৪, ২০২৩, রাত ৩ টা বেজে ৪৫ মিনিট)

ঘূর্ণিঝড় "হামুন" নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপ নয়; ঘূর্ণিঝড় হিসাবেই বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলার উপকূলে
২৫ শে অক্টোবর দুপুর ১২ টার পর মধ্য রাত্রীর মধ্যে আঘাত করার প্রবল সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।



  • ঘূর্ণিঝড় হামুন এর কেন্দ্র সরাসরি ভোলা ও নোয়াখালী জেলার চরগুলোর উপর দিয়ে অতিক্রম করার সম্ভাবনা নির্দেশ করতেছে আমেরিকার নৌবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার।
  • উপকূলে আঘাত করার সময় বাতাসের গড় গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দমকা হাওয়া সহ যা ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধিপেতে পারে।
  • ভোলা ও নোয়াখালী জেলার চরগুলোর ৭ থেকে ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।


রাত ৯ টার সময় প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ঘুর্নিঝড় হামুন আরও শক্তিশালি হয়েছে। রাত ৯ টার সময় ঘুর্নিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ পাওয়া গেছে ঘন্টায় প্রায় ৯৩ কিলোমিটার দমকা হাওয়া সহ যা ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘুর্নিঝড়টি ঘন্টায় প্রায় ১৯ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ঘুর্নিঝড় হামুন কোলকাতা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার। রাত ১২ টার সময় ঘুর্নিঝড় কেন্দের আশ-পাশে ২০ ফুট উচ্চতার ঢেউ পরিমান করা হয়েছে। পটুয়াখালি জেলার পয়ারা বন্দর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্হান করছিল।

ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা। যে স্থানে তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্থানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্থানে মেঘের মধ্যে বৃষ্টির পানির পরিমাণ তত বেশি।

ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা। যে স্থানে তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্থানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্থানে মেঘের মধ্যে বৃষ্টির পানির পরিমাণ তত বেশি।

ছবি: কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত মেঘের শীর্ষের তাপমাত্রা। যে স্থানে তাপমাত্রা যত বেশি ঋনাত্নক সেই স্থানে মেঘের উচ্চতা তত বেশি ও সেই স্থানে মেঘের মধ্যে বৃষ্টির পানির পরিমাণ তত বেশি।

Related Post