একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

মাতৃভাষা বাংলায় আবহাওয়া বিজ্ঞান চর্চা: কালবৈশাখি ঝড় সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও কালবৈশাখি ঝড় সৃষ্টির প্রধান উপকরন গুলো কি কি?

Blog Image
Email : 256k 12k

মাতৃভাষা বাংলায় আবহাওয়া বিজ্ঞান চর্চা: কালবৈশাখি ঝড় সৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও কালবৈশাখি ঝড় সৃষ্টির প্রধান উপকরন গুলো কি কি?


কালবৈশাখী ঝড় সৃষ্টির জন্য প্রধানত  টি উপাদান দরকার। 

১)  উচ্চ তাপমাত্রা: 

ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা অত্যধিক বেশি থাকা যার কারণে ভূ-পৃষ্টের উপরের বায়ু গরম হয়ে বায়ুর ঘনত্ব কমে যায় ও কোন স্থানের বায়ু হালকা হয়ে পরে ও  যথেষ্ট অস্থিতিশীল হয়ে আকাশে উঠে গিয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন যে গতকাল যশোর জেলায় প্রায় ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠেছিল যা নাকি গত ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আজকেও দেশেই অনেক স্থানে ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা উঠবে বলে মনে করি। এই রেকর্ড ব্রে-কিং তাপমাত্রার কারণে ঐ সকল স্থানের বায়ুর ঘনত্ব কমে গিয়ে আকাশে উঠে যাচ্ছে ও ঐ স্থানের বায়ুর স্থান দখল করতে বঙ্গোপসাগর থেকে জ্বলিয় বাস্পযুক্ত বায়ু বাংলাদেশে ও ভারতে পশ্চিম বঙ্গের স্থল ভাগে প্রবেশ করা শুরু করেছে। শক্তিশালী  কালবৈশাখী ঝড়ের মাধ্যমে ঐ সকল স্থানের বাতাস ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর থেকে জ্বলিয় বাস্পযুক্ত বায়ু বাংলাদেশে ও ভারতে পশ্চিম বঙ্গের স্থল ভাগে প্রবেশ অব্যাহত থাকবে।   

Related Post