একটি বেসরকারি আবহাওয়া পূর্বাভাস ওয়েবসাইট যা বাংলা ভাষায় আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদান করে থাকে একাধিক আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ ও রাডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে।

ভূমিকম্প

৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে)

Blog Image
Email : 277k 12k

৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে নেপালে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) 

আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টা বেজে ৫ মিনিটের সময় বাংলাদেশে যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ড শহরের খুব কাছে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আজকের ভূমিকম্পটির মান ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের কোদারি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।  ভূমিকম্পটির কেন্দ্রও ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।  

ছবি:  আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ৩ টা বেজে ৫ মিনিটের সময় যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার মান ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের কোদারি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে।

যেহেতু আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশের রংপুর বিভাগ থেকে খুবই কাছে, ফলে এর কারণে সৃষ্টি হওয়া ভূ-কম্পন বেশি অনুভূত হয়েছে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলো থেকে। আগামী ২৪ ঘন্টায় একাধিক আফটার শক ভূমিকম্পের আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে আজ রাতে একাধিক ছোট-ছোট ভূমিকম্পের আশংকা করা যাচ্ছে।  

ছবি: বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ৩ টা বেজে ৫ মিনিটের সময় যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তি স্থল ছিল নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু শহরের উত্তর-পূর্ব দিকে। 

এখানে উল্লেখ্য যে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে দূরত্ব বৃদ্ধির সাথে-সাথে ভূ-কম্পনের তীব্রতা কম অনুভূত হতে থাকে যেহেতু ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট তরঙ্গ ভূ-অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় শক্তি ক্ষয় হতে থাকে। নিচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল থেকে দূরের বিভিন্ন শহরে সম্ভব্য কোন মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। যেমন মূল ভূমিকম্পটির মান ৫ দশমিক ৫ হলেও বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার মানুষরা যে ভূ-কম্পন অনুভব করেছে তার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩। ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা শহরের মানুষরা যে ভূ-কম্পন অনুভব করেছে তার মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৪।    


এখানে উল্লেখ্য যে বুধবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ২ টা বেজে ৫৫ মিনিটের সময় যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তি স্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যের রাজধানী গোয়াহাটি থেকে ৫৪ কিলোমিটার দূরে, খারুপাতিয়া নামক শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ঢাকা শহর থেকে ৩৫১ কিলোমিটার দূরে। আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ভূমিকম্পটির মান ছিল ৫ দশমিক ৩। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। 


ছবি: বুধবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সময় ২ টা বেজে ৫৫ মিনিটের সময় যে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছে তার উৎপত্তি স্থল ছিল ভারতের আসাম রাজ্যে

Related Post