শুক্রবারের (১৫ ই আগস্ট, ২০২৫) আবহাওয়া পূর্বাভাস
আজ শুক্রবার সকাল ৮ টার সময় জাপানের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার উপরে বৃষ্টি-যুক্ত ঘন মেঘের উপস্থিতি রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যে সকল জেলার উপরে বৃষ্টিপাত হয়েছে আজ শুক্রবার আবারও সেই সকল জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের আশংকা করা যাচ্ছে। আজও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের দিকে বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। অর্থাৎ, খুলনা, বরিশাল, ও চট্রগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার রাজ্যের উপরেও বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
আজ শুক্রবার সকাল ৮ পর থেকে আগামীকাল শনিবার সকাল ৮ টার মধ্যে নিম্নলিখিত জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে।
সিলেট বিভাগ: এই পূর্বাভাস লেখার সময় সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময়ে সিলেট বিভাগের সকল জেলার উপরে একাধিকবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিলেট বিভাগের উত্তর দিকের জেলাগুলোর উপরে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
ময়মনিসংহ বিভাগ: এই পূর্বাভাস লেখার সময় ময়মনিসংহ বিভাগের নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ শুক্রবার দিনের বিভিন্ন সময়ে ময়মনিসংহ বিভাগের সকল জেলার উপরে একাধিকবার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভারি মানের বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলার উপরে সকাল ৭ টার পর থেকে সকাল ১০ টার মধ্যে। শেরপুর ও জামালপুর জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯ টার পর থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে। তীব্র বজ্রপাতের আশংকা করা যাচ্ছে ময়মনিসংহ বিভাগের সকল জেলার উপরে।
বরিশাল বিভাগ: এই পূর্বাভাস লেখার সময় বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী ও ভোলা জেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ শুক্রবার বরিশাল বিভাগের সকল জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভারি মানের বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে পটুয়াখালী, বরিশাল, ঝালকাঠি জেলার উপরে সকাল ৮ টার পর থেকে সকাল ১১ টার মধ্যে। বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সকাল ৯ টার পর থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে।
চট্রগ্রাম বিভাগ: এই পূর্বাভাস লেখার সময় চট্রগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ও লক্ষ্মীপুর জেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আজ শুক্রবার চট্রগ্রাম বিভাগের উত্তর দিকের সকল জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা দক্ষিণ, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার উপরে সকাল সকাল ১০ টার পর থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবন জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দুপুর ১২ টার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে।
রাজশাহী বিভাগ: এই পূর্বাভাস লেখার সময় রাজশাহী বিভাগে নাটোর জেলায় বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল ৮ টার পর থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দুপুর ১২ টার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা বিভাগ: সকাল ১১ টার পূর্বে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। সকাল ১১ টার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল ১০ টার পর থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে খুলনা বিভাগের উত্তর উপকূলীয় জেলাগুলোর উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অপেক্ষাকৃত ভারি মানের বৃষ্টির আশংকা করা যাচ্ছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, ঝিনাইদহ জেলার উপরে।
রংপুর বিভাগ: সকাল ৯ টার পর থেকে দুপুর ৩ টার মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট, ও কুড়িগ্রাম জেলার উপরে। গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাও জেলার উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এছাড়া দুপুর ১২ টার পর থেকে রাত ১২ টার মধ্যে।
ঢাকা বিভাগ: সকাল ১১ টার পূর্বে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর উপরে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম। তবে দুপুর ১২ টার পর থেকে রাত ৮ টার মধ্যে ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার উপরে হালকা থেকে মাঝারি মানের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
=======================
বন্যা পূর্বাভাস
=======================
আজ শুক্রবার রংপুর বিভাগের বেশিভাগ নদ-নদীর পানি বন্যা বিপদসীমার উপর কিংবা কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে রংপুর বিভাগের তিস্তা, দুধকুমার, ধরলা, আত্রাই নদীর উপকূলবর্তী জেলাগুলো বন্যার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। একই সময়ে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর বেশিভাগ চর অঞ্চল বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বন্যা বিপদসীমার উপর কিংবা কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে। খুলনা ও ঢাকা বিভাগের একাধিক জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বন্যা বিপদসীমার উপর কিংবা কাছা-কাছি উচ্চতায় প্রবাহিত হওয়ার আশংকা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ৫ টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে ও ১০ জেলার নদীর পানি বন্যা বিপদসীমার কাছা-কাছি উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ৩ দিনের জন্য নিম্নোক্ত বন্যা সতর্কবার্তা জারি করেছে।
"তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ১২ ঘণ্টা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার (Danger Level) উপরে প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে; এই সময়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলার উক্ত নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী ০৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্ক-সীমায় (Warning level) প্রবাহিত হতে পারে। এই সময়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা, মানিকগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকা জেলার উক্ত নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলসমূহ সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীসমূহের পানি সমতল আগামী ০৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে ও সতর্ক-সীমায় (Warning level) প্রবাহিত হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সোমেশ্বরী, ভুগাই ও কংস নদীসমূহের পানি সমতল সতর্কসীমায় (Warning level) প্রবাহিত হতে পারে।"
